Monday, May 20, 2013

বি ডাটা ৪০০ টাকা।অথচ সরকারের কাছ থেকে প্রতি সেকেন্ডে এক এমবি এক মাস কিনছে ৫০০০ টাকায়।তাহলে কী বলতে চান মোবাইল অপারেটর ১ টাকায় ১ জিবি ডাটা কিনে ইউজারের কাছে তা ৪০০ টাকায় বিক্রি করে ? ৪০০ গুন লাভ ! সরকার পাবলিক দুই'ই এত ভোদাই ! বিষয় এরকম না। চলুন দেখি-

বর্তমানে ধরলাম আইএসপিগুলো সরকারের কাছ থেকে ১ এমবিপিএস ব্যন্ডউইথ সব মিলিয়ে ৫০০০ হাজার টাকায় এক মাসের জন্য কেনে।এখানে আপ ও ডাউন উভয়ই কন্টেন্ট ধরে নেওয়া।১ এমবিপিএস অর্থাৎ ১ সেকেন্ডে ১ এমবি ডাটা।তাহলে তারা এক মাসে ঐ টাকায় যা পেলো তার পরিমান= ৩০ x ২৪ x ৬০ x ৬০ x ১ = ২৫৯২০০০ এমবি = ২৫৯২ জিবি ডাটা।তাহলে আইএসপির প্রতি জিবি ডাটার ক্রয় মূল্য ৫০০০/২৫৯২= ১.৯২ পয়সা প্রায়।অথচ আপনার কাছে বিক্রি করছে ৩৪৫+ভ্যাট টাকায়= ৪০০ টাকায়, মানে ২০০ গুন লাভ।

সরকারকে মক্কেল পাইছেন ? ব্যান্ডউইথ কে বাতাসে ছেড়ে দিলেই উড়তে উড়তে চলে যায় ভাবছেন ? আসল খরচ ঐ ব্যান্ডউইথ ইউজার এন্ডে পৌছানোতে।সরকার ব্যন্ডউইথ ফ্রিদিলেও পরিবহন খরচের জন্য ইউজারকে একই দাম দিতে হবে।যার জন্য লাগে তরঙ্গ, আর তরঙ্গের জন্য সরকারকে ফি দিতে হয়, প্রতি মেগাহার্জ শতশত কোটি টাকা।পরিবহনের ৮০% খরচ এই তরঙ্গে।সরকার গত চার ছরে ব্সযান্মডউইথের মূল্য ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় নিয়ে এলেও ঐ তরঙ্গের দাম এক পয়সা কমায় নি।বরং ব্যান্ডউইথ যেন সর্বনিম্ন ব্যবহার হয় তার অসংখ্য পলিসি করেছে।তাই গত চার বছরে প্রকৃতপক্ষে খুবই সচেতন ভাবে জনগণের সাথে প্রতারনা করেছে।দৈনিক ভিওআইপির ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির জন্য।

এখনও সচেতন হউন, আগামী জুনে ৩জি নিলামে প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের জন্য ১৫০ কোটি টাকা স্টার্টিং বিডিং ধরা হয়েছে।পত্যেক অপারেটরকে ১০ মেগাহার্জ স্পেকটার্ম নিতে হবে যার বিডিং শুরু ১৫০০ কোটি টাকা।এত টাকায় তরঙ্গ কিনে ইউজারকে যা দিতে পারবে তাতে রিক্সাওয়ালার ছেলের কপালে ইন্টারনেট তো নাই'ই বাংলাদেশের ডমেস্টিক ব্রডব্যান্ড বেকবোনের স্বপ্নেরও ১২টা বাজবে।আমরা বলি, ৩জি স্পেকটার্ম ফ্রি দিতে হবে, পরে ৪% এর রপরিব্তে ১৫-২০% প্রফিট শেয়ার করা হবে, যেন কৃষকের ছেলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।

পুরো বিষয়টি আবার বলছি, যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ন, বুঝুন- বর্তমানে মোবাইল অপারেটররা যেহেতু ২০০৭ সালের ১২৭,০০০/- টাকায় ১ মেগাবিট/সেকেন্ড এর পরিবর্তে মাত্র ৫০০০ টাকায় এক মেগাবিট/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে, সেখানে ইউজার এন্ডে বর্তমান গড় গতি ৫ কিলোবাইট/সেকেন্ডের পরিবর্তে অনেক গুন বেশি না হলেও অন্তত এজ নেটেওয়ার্কের সর্বোচ্চ ৬০ কিলোবাইট/সেকেন্ড না হলেও ৩০ কেবিপিএস হওয়া উচিত ছিল, কি বলেন ? এবং দাম দশভাগ না হলেও পাঁচ ভাগ কমা উচিত ছিল।হারামজাদা মোবাইল অপারেটররা অবশ্যই আমাদের সাথে প্রতারনা করছে ? এমনিতেই বাতাস বেঁচে বিদেশিরা দেশের টাকা নিয়ে গেল, এইরকম অবুঝ অন্ধ দেশপ্রেমে আমাদের চোখে বেঁধে নিজের পায়ে কুড়াল মারানো হচ্ছে।

এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, আচ্ছা এই যে আমরা কারেন্টের বাতি জ্বালাই, ফ্যান চালাই, এই কারেন্ট কিসের ভেতর দিয়ে পাস হয় বা আসে ? উত্তর সবার জানা।কারেন্টের তাড়ের ভিতর দিয়ে কারেন্ট পাস হয়! আচ্ছা অপটিক ক্যাবলের ভিতর দিয়ে কি পাস হয় ? এর উত্তরও অনেকেই জানে, ব্যান্ডউইথ/ইন্টারনেট পাস হয়।

তাহলে বলুন, এই যে মোবাইল চলে, মোবাইলে, ওয়াইম্যাক্সে আমরা ইন্টারনেট পাই, তা কিসের ভিতর দিয়ে পাস হয়ে ইউজারের মডেমে, মোবাইলে ঢোকে ? হ্যাঁ, ঐ জিনিষটার নাম তরঙ্গ! তরঙ্গের মাধ্যমে। মোববাইল, মোবাইল ইন্টারনেট, ওয়াইম্যাক্স, থ্রিজি সহ তাড়বিহীন সকল যোগাযোগের প্রাণ হলো এই তরঙ্গ - যা প্রাকৃতিক সম্পদ।পৃথিবীতে অঞ্চল ভেদে অন্যান্য খনিজ সম্পদের তারতম্য থাকলেও আকাশের এই প্রাকৃতিক সম্পদের কোথাও কোন তারতম্য নেই, আমেরিকায় যা বাংলাদেশেও তাই।তবে এর ব্যবহার নিয়ে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে চলে গণবিরোধী অসংখ্য নীতি ও রাজনীতির খেলা।জন্মগত ভাবেই মানুষ তার মাথার উপর আকাশের তরঙ্গে উপর অধিকার লাভ করলেও বাংলাদেশের সামরিক, একনায়ক, গণতন্ত্রের নামে ইজারাতান্ত্রীক সরকার ও রাজনীতিবিদেরা জনগণকে তাদের এই অধিকার থেকে ৯৮% বঞ্চিত রেখেছে।বাংলাদেশে মূলত কোন তরঙ্গ নীতিমালাই নেই।যা চলছে তা পৃথিবীতে নজির বিহীন।

বিটিআরসি বলছে, ২০০৮ সালে প্রতি মেগাবিট/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথের মূল্য ছিল ৭২ হাজার টাকা।বর্তমান সরকার প্রতি মেগাবিট/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথের মূল্য ৪ হাজার ৫০০ টাকায় নামিয়ে এনেছে।অথচ এখনো গ্রাহককে একই দামে ব্যান্ডউইথ কিনতে হচ্ছে, গতিও বাড়েনি।মোবাইল অপারেটরদের ধরুন! কিন্তু বিটিআরসি যা বলে নাই তাহলো, মোবাইল অপারেটরদের ঢাকায় ব্যান্ডউইথ কিনে সারাদেশে গ্রাহকের কাছে সেই ইন্টারনেট পরিবহন করতে তরঙ্গ লাগে, আর ঐ তরঙ্গের ফী প্রতি মেগাহার্য ১৫০-২০০ কোটি টাকা প্রতি বছর, যার দাম বিটিআরসি এক পয়সাও কমায়নি বরং আর হাজার প্যাচ ব্যাকহাউলিং কস্ট ইত্যাদী তো আছেই।

এবার আরেক বার নিজেকে প্রশ্ন করুন- কে দেশের জনগণকে ইন্টারনেট বঞ্চিত রাখলো ? এখানে অবশ্য সরকারের আরও একটা নিয়ত ছিল।প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকার ভিওআইপি কাঁচা পয়সা দুর্নীতি।তরঙ্গের দাম কমলে আপনার নেটের দামের সাথে সাথে গতির বেড়ে যাবে তাতে ভিওআইপি বানিজ্য ব্যপক ধরা খাবে।এজন্য দেখছেন না, গত সপ্তাহ থেকে আপলোড ২৫% করে দিয়েছে।

এখনও সচেতন হউন, আগামী জুনে ৩জি নিলামে প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের জন্য ১৫০ কোটি টাকা স্টার্টিং বিডিং ধরা হয়েছে।পত্যেক অপারেটরকে ১০ মেগাহার্জ স্পেকটার্ম নিতে হবে যার বিডিং শুরু ১৫০০ কোটি টাকা।এত টাকায় তরঙ্গ কিনে ইউজারকে যা দিতে পারবে তাতে রিক্সাওয়ালার ছেলের কপালে ইন্টারনেট তো নাই'ই বাংলাদেশের ডমেস্টিক ব্রডব্যান্ড বেকবোনের স্বপ্নেরও ১২টা বাজবে।আমরা বলি, ৩জি স্পেকটার্ম ফ্রি দিতে হবে, পরে ৪% এর রপরিব্তে ১৫-২০% প্রফিট শেয়ার করা হবে, যেন কৃষকের ছেলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।